,

‘ফণী’ আতংকে কাশিয়ানীর কৃষকরা

লিয়াকত হোসেন (লিংকন): মাঠের পর মাঠ ছেয়ে আছে পাকা বোরো ধান। প্রায় ৭০ ভাগ জমির বোরো ধান পাক ধরেছে। যার জন্য আংশিক জমিতে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হবে পুরো দমে ধান কাটা ও মাড়াই উৎসব। কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা।

তবে প্রবলবেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনে কলকাতার ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হতে পারে। এমন আশংকায় কাশিয়ানী উপজেলার বোরো চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে ।

সারাদিন প্রচন্ড গরম শেষে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে কাশিয়ানী উপজেলার কৃষকদের আতংক আরো বেড়ে গেছে। এমন অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।

উপজেলার শিল্টা গ্রামের কৃষক সাকায়েত হোসেন বলেন, ‘আমার দশ বিঘা জমির পুরো ধান পেকে গেছে। কিন্তু কৃষানের অভাবে ঘূর্ণিঝড়ের আগে কাটতে পারছি না। ধান নিয়ে চরম আতংকে আছি, জানি না কি হবে। সব আল্লার উপর ছেড়ে দিয়েছি।’

উপজেলার জোতকুরা গ্রামের কৃষক মো. মোসলেম মোল্যা বলেন, ‘দশ জন ধান কাটা কৃষাণ নিয়েছি। কিন্তু ভোর থেকে আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। আল্লাহই জানে ধান ঠিকমতো ধান কাটতে পারবো কি না। শুনেছি সিডরের চেয়েও ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হবে। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তায় আছি’

’কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রসময় মন্ডল বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ৮০ ভাগ পাকা বোরো ধান কাটতে এবং ভুট্টা, চীনা বাদামসহ পরিপক্ক সব ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা উপজেলার সকল ইউনিয়ন সুপারভাইজারদের মাধ্যমে কৃষকদের বিষয়টি জানিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর